মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হাইকোর্ট চত্বরে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সোমবার, ১৫ জুলাই, দুপুরের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের অনুরোধকারীদের ও ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হাইকোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন ব্যারিস্টার সুমন ।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে যারা মুখোমুখি হয়ে কোটা সংস্কার দাবি ও আন্দোলন করছে সেটা সংগঠনটিকে অজনপ্রিয় করার একটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না। কারণ এক বা দুইটা দল মুখোমুখি হলে ছাত্রলীগ যদি কাউকে আঘাত করে অথবা তারা যদি মারধরের শিকার হয়, তখন হয়তো পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।”
তিনি আরো জানান, “নিজেদেরকে প্রমান করার জন্য অনেকে ছাত্রলীগের ট্যাগ লাগিয়ে আন্দোলন করছেন ও সংঘর্ষে জড়ান। ক্ষতি কিন্তু এইখানে ছাত্রলীগেরই হচ্ছে।”
সায়েদুল হক সুমন বলেন, আপনারা যদি প্রকৃতপক্ষে কাউকে প্রতিহত করতে চান, তাহলে যারা আন্দোলনের বাইরে থেকে এসে সরকারের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, তাদেরকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন।” নিজেদের হাতে আইন তুলে না নেয়ার বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।
আর আন্দোলনকারীদের তিনি অন্তত এক মাসের জন্য এপিলেট ডিভিশনের রেজাল্ট হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার আহব্বান জানান। প্রয়োজনে তিনি তাদেরকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসবেন বলে আশ্বাস জানান।
তিনি বলেন, “আমি বড় ভাই হিসাবে বলছি, আপনাদেরা আদালতের দিকে একটু দেখেন। এক মাসের অপেক্ষা করুন। এক মাস পরে যদি আপনারা যৌক্তিক সমাধান না পান, তাহলে আপনারা আবারও আন্দোলন করতে পারেন।"
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “আপনাদের পুরো ভবিষ্যৎ সামনে রয়েছে। আমি চাই না অযথা সংঘাতে জড়িয়ে আপনারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করুন এবং দেশে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক।”
“বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকারকে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। তখন সরকারের সামনে আর কোনো বিকল্প পথ থাকবে না।”