সীমান্তে সব লাইট বন্ধ করে বিএসএফের পুশইন চেষ্টা, রুখে দিল বিজিবি-জনতা

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর পুশইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৩০ মে) রাতভর তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

     মে 31, 2025 / GMT+6

পুশইন ঠেকাতে প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে মানবপ্রাচীর তৈরি করে সারারাত পাহারা দেয় হাজারো স্থানীয় বাসিন্দা। একইসঙ্গে কচাকাটা ও কেদার ক্যাম্পের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আনসার ভিডিপি সদস্যরা সীমান্তে কড়া অবস্থান নেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার অধীন ফাইসকারকুটি গ্রামের একটি স্কুলে দুটি পিকআপভ্যানে করে আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ জনকে নিয়ে আসা হয়। বিএসএফ ওইসব লোকজনকে বাংলাদেশ সীমান্তে পুশইন করার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের গ্রামটিতে সব লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে গোপনে পুশইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে শোভারকুটি ও শিপেরহাট সীমান্তে শত শত স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে মানবপ্রাচীর তৈরি করে পাহারা দিতে শুরু করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির সদস্য এবং আনসার ভিডিপি দল তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে উপস্থিত হয়ে শক্ত অবস্থান নেয়। অন্যদিকে, ভারতীয় সীমান্তে অবস্থান নেয় বিএসএফ সদস্যরাও। রাত ২টার দিকে বিএসএফ শূন্যরেখায় এসে অবস্থান নেয় এবং একাধিকবার বিজিবির সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালায়, তবে বিজিবি তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে রাত ৩টার দিকে বিএসএফ শূন্যরেখা ত্যাগ করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক জানান, “সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ যেন অবৈধভাবে কাউকে পুশইন করতে না পারে, সেজন্য বিজিবি, আনসার এবং স্থানীয় জনগণ একযোগে পাহারা দিচ্ছে। সীমান্তে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।”

Join with us

পাঠান

Subscribe Now

Keep updated with the latest news!