ইনফো ন্যাশন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা ব্যবসা বাণিজ্য স্বাস্থ্য প্রযুক্তি নির্বাচন আরও

খাগড়াছড়িতে বন্ধ যান চলাচল, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

     সেপ্ট 22, 2024

রাঙামাটিতে দুই দিন পর আজ রবিবার বেলা ১১টায় ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার দুপুর ১টায় এই বিধিনিষেধ জারি করেছিল প্রশাসন।

Similar topics for you...
This topic continues below.

দুপুরের পর ফিরছেন সাজেকে আটকা ৭০০ পর্যটক!
মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গু! রোগ নির্ণয়ে দেরি, বাড়ছে জটিলতা!!
রাজধানী ঢাকায় ১০ ভারতীয় গ্রেফতার

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার পর থেকে দুই জেলায় এখনো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দোকানপাট, মার্কেট খোলেনি এবং স্কুল-কলেজেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই।

৪৬ ঘণ্টা পর রোববার দুপুর ১১টায় থেকে রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয় কিন্তু খাগড়াছড়িতে শনিবারই করা হয়েছিল।  

এর মধ্যে ‘পাহাড়িদের ওপর হামলা, খুন ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের’ প্রতিবাদে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সকালে খাগড়াছড়ির সাজেক সড়ক, পানছড়ি এবং রামগড় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধকারীরা বিক্ষোভ করার ঘটনা শোনা যায়।

যার কারণে রাঙামাটি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি জেলার দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ আন্তঃউপজেলাগুলোতে সড়ক এখনো বন্ধ রয়েছে।  

তবে কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।  এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানানা, “সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সড়কগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে,” জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।'"

পাহাড়ী শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার অবরোধের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকদের ‘অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট’ চলমান থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোটরসাইকেলে করে বা পায়ে হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে।

বনরূপার কাঁচাবাজারে কিছু ক্রেতার বাধ্য হয়ে আসায় কিছু মানুষের ভিড় দেখা গেলেও গণপরিবহন না থাকায় পুরো শহর প্রায় স্তব্ধ। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ঠিক সময়ে পায়ে হেঁটে পৌঁছালেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি ছিল না। এদিকে প্রশাসনের সাড়া না পাওয়ায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা এখনো ধর্মঘট প্রত্যাহার করেনি।

অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু সাংবাদিকদের জানান, "শুক্রবার ভাঙচুর হওয়া গাড়ি ও চালকদের ক্ষতিপূরণ না দিলে এবং প্রশাসন থেকে কোনো আশ্বাস না পেলে অবরোধ চলতে থাকবে।" "আমাদেরকে এখনো কেউ কথা বলার জন্য ডাকেনি।"

কিন্তু পুরো শহর জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।  প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া, বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি সম্প্রীতি সভার আয়োজন করা হয়েছে।

 

Share on

পাঠান

Subscribe Now

Keep updated with the latest news!