গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালানো নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে সৌদি আরব। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জীবনকে হুমকিতে ফেলে চালানো এ অভিযানকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘অযৌক্তিক লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি গত শুক্রবার রাতে বলেন, টানা দুই রাত ট্যাংক নিয়ে অভিযান চালানোর পর ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযানের আওতা বাড়াচ্ছে। আর এরপরই স্থল অভিযান নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করল সৌদি আরব।
এক বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের চালানো যেকোনো ধরনের স্থল অভিযানের নিন্দা জানাচ্ছে সৌদি আরব। কারণ, এ ধরনের অভিযান ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য হুমকি তৈরি করে।
আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে এভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালানো হলে তা বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অঞ্চলটির স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে এর গুরুতর প্রভাব পড়বে।
সূত্র : এএফপি।
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে ‘তাৎক্ষণিক’ বন্দি বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা সকল ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি চায় তারা। গাজা উপত্যকার এই প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি এমন কথাই জানিয়েছে।
মূলত বন্দি সংকট মেটাতে পর্দার আড়ালে উভয়পক্ষের সঙ্গে কাতার কাজ করে চলেছে এবং দেশটির এই প্রচেষ্টার মধ্যেই হামাসের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য সামনে এলো। রোববার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ‘তাৎক্ষণিক’ বন্দি বিনিময়ের জন্য হামাস প্রস্তুত বলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার জানিয়েছেন।
সিনওয়ার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে প্রস্তুত। যার মধ্যে ইসরায়েলি জেল থেকে সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে আটক থাকা সমস্ত বন্দির মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।