প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ
আগ 11, 2024
দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ, রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নিয়েছেন।
Similar topics for you...This topic continues below.
অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ লাখ, আহতরা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে পাচ্ছেন
বছরের শেষনাগাদ এডিবি বাজেট সহায়তা দিবে ৪০০ মিলিয়ন ডলার, অর্থ উপদেষ্টা
আরব আমিরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত সেই ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন প্রেসিডেন্ট
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর আইন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
শনিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। পরে আপিল বিভাগের আরও পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। এক দিনে আপিল বিভাগের মোট ছয় বিচারপতির পদত্যাগ ঘটে।
পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য পাঁচ বিচারপতি হলেন: এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম, এবং কাশেফা হোসেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত ইশতিয়াক আহমেদ ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। মা প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করা সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের বাইরেও পড়াশোনা করেছেন। ২০০২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এর আগে, ১৯৮৪ সালে জজ আদালতের আইনজীবী এবং ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন।
আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় পুরো শপথ গ্রহণ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে তিনি নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে মঞ্চে আহ্বান করেন। রাষ্ট্রপতি তাকে প্রথমে শপথ পড়ান এবং পরে গোপনীয়তার শপথও পাঠ করান। শেষে, শপথবাক্যের ফাইলে প্রধান বিচারপতি প্রথমে এবং রাষ্ট্রপতি পরে সাক্ষর করেন।