বিউটি পার্লারে ঘুরে ঘুরে তরুণীদের টার্গেট করেন একটি চক্রের কিছু সদস্য। তারা ফাইভ স্টার হোটেলে লাখ টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যান মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কিন্তু পরে জিম্মি করে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজ করতে। ভুক্তভোগী তিন তরুণী দেশে ফিরে মামলা করার পর ধরা পড়েন ওই চক্রের তিন সদস্য। এ মামলায় দেশের পুলিশ বাংলাদেশ ও কাতারভিত্তিক একটি সিন্ডিকেটের সন্ধান পায় বলে জানা গেছে।

অধিকাংশ সময় কাতারে মাতাল হয়ে পড়াদের পার্টির আয়োজন করেন বাংলাদেশের সানজিদা, ইউসুফ, সোহাগ গং। মাদারীপুরের তাসলিমা আক্তার হচ্ছেন তাদের মূলহোতা। সাধারণত বছরের বেশিরভাগ সময় কাতারে পরিচিত প্রেমা (মাদারীপুরের তাসলিমা আক্তার) কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাটালেও সানজিদা, ইউসুফ আর সোহাগরা প্রায় আসেন বাংলাদেশে।

এই চক্রের মূলত কাজ হচ্ছে কাতার, দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানো আর এক্ষেত্রে তাদের মূল টার্গেট তরুণীরা।

কজন ভুক্তভোগী জানান যে মানসুরা আক্তার রিতু নামে এক নারীর হাত ধরে তারা গিয়েছিলেন কাতারে। পরে তাদেরকে সেখানে বাধ্য করা হয়েছিল অনৈতিক কাজে। পরবর্তীতে তারা কাতার পুলিশের সহায়তায় দেশে ফিরেছেন।

এক ভুক্তভোগী আরো জানান যে ওখানে গিয়ে তিনি দেখেন এক রুমে ১০ জন মেয়ে। তিনি বলেন যে ভালো কাজের কথা বলে তারা মেয়েদের দিয়ে খারাপ কাজ করায়। 

ভুক্তভোগী জানান যে অনেক অত্যাচার করা হয়, মারধর করা হয় এবং ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে বলে অনৈতিক এসব কাজ না করলে ভিডিও বাড়িতে পাঠানো হবে তথা অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।

সূত্র : সময় টিভি 

Join with us

পাঠান

Subscribe Now

Keep updated with the latest news!