Get the best experience by installing our app!

ফারাক্কার সবকটি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে ২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের আরো কয়েকটি জেলা ।

অঞ্চলগুলি হলো পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, ফারাক্কা বাঁধের এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭.৩৪ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো যার কারণে বাঁধে পানির অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পানি হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে তা ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছে।

পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা দাবি করছেন, পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানে ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার খবরে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে অনেকেই বাড়িতে শুকনা খাবার মজুদ করতে শুরু করেছেন।

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর পানির স্তর ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, পদ্মানদীর লালপুর অংশে পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। বর্তমানে বিপৎসীমার ১.৮ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পদ্মা নদীর তীরবর্তী লালপুর উপজেলার ২নং ঈশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু জানিয়েছেন, ফারাক্কার ১০৯টি গেট খোলার কারণে নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে, পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

ফারাক্কা বাঁধ কি এবং কোথায় এর অবস্থান?

ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত একটি বাঁধ। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত।

ছবি : সংগৃহীত 

 বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ১৯৬২ সালে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয় ১৯৭০ সালে। ফারাক্কা বাঁধের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল।

 

 

Join with us

পাঠান

Subscribe Now

Keep updated with the latest news!