মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে পুষ্পিতা আক্তার নামে ১৫ বছরের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে। গতকাল শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুষ্পিতা আক্তার মারা যান। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে যে পুষ্পিতা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী কাঞ্চন মিয়ার মেয়ে। পুষ্পিতা আক্তার এলাকার পদ্মফুল মহিলা মাদরাসার ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার চাচা আলফাজ উদ্দিন জানান যে গত কয়েকদিন যাবত মাদরাসায় যাচ্ছিলো না পুষ্পিতা। সেটা নিয়ে নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে রাগ, অভিমান হয়। এরপর গত বৃহষ্পতিবার পুষ্পিতার মা তাকে মাদরাসায় যেতে বললে সে যায়নি। জানা গেছে তারপর পুষ্পিতা তার মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এ অবস্থায় তাকে প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নেয়া হয় এবং পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘাটুরা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুষ্পিতা আক্তার মারা যায় বলে জানা গেছে।
সোর্স : বাংলাদেশ প্রতিদিন