দেশে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে রফতানি আয় কমার নেতিবাচক কড়া মাশুল দিতে যাচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। আশঙ্কা করা হচ্ছে জানুয়ারির আগে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না দেশের রফতানি আয়। এ অবস্থায় নতুন করে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি 'নো ওয়ার্ক, নো পে' নীতিতে কারখানা বন্ধ রাখার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকরা।
এ বছরের আগস্টে ৪০৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পর প্রায় ৪৩ কোটি ডলার কমে সেপ্টেম্বরে পোশাক খাতের রফতানি আয় নামে ৩৬১ কোটি ৮৯ লাখ ডলারে। সেখান থেকে গত অক্টোবরে আরও ৪৫ কোটি ডলার কমে পোশাক খাতের রফতানি আয় আসে ৩১৬ কোটি ৫৬ লাখ ডলার যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ কমে গেছে।
আবার অটেক্সা জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রফতানি কমেছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
যখন যুদ্ধ আর মূল্যস্ফীতি চাপে রয়েছে বিশ্ববাজার তখন আবার বেশ কিছু দিন ধরেই কারখানা ভাঙচুর আর শ্রমিক অসন্তোষে অস্থিরতা বিরাজ করছে তৈরি পোশাক খাতে।
অযৌক্তিক মজুরি বাড়ানোর নামে আন্দোলন বা জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় শিল্পকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বিপর্যয়ের পথে, এমন দাবি করে বরাবরই শিল্প মালিকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন, যে কোনো ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের চড়া মাশুল গুনতে হবে দেশকেই।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠিন পথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিল্প মালিকরা। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ একযোগে সব কারখানায় সব ধরনের নতুন নিয়োগ বন্ধের মতো কঠিন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি কাজ না করলে শ্রমিকরা বেতন পাবেন না নীতিতে চলতে কারখানা মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি বলেন, হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেয়া শ্রম আইনে অপরাধ বলে বিবেচিত হয় আর কাজ না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 'নো ওয়ার্ক, নো পে' নীতিতে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হতে পারে।
এ ব্যাপারে সময় টিভি জানায় -